আম খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
পেজ সূচিপত্রঃ আম খাওয়ার উপকারিতা ও এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো।
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে ।যা কিছুই খাওয়া হোক না কেন তার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। আমাদের সেই সব বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন ।আমরা মনে করি সব জেনে শুনে আমাদের যে কোন জিনিস খাওয়া উচিত হবে বলে মনে করি। আম হল একটি জনপ্রিয় ফল ।এই ফল সারা বছর পাওয়া যায় ।আম হল একটি মৌসুমী ফল। সারা মাসের এক থেকে দুই মাস প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
আর এই আম খেতে অনেক সুস্বাদু ।আম খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। প্রত্যেকটা মানুষই ছোট হোক কিংবা বড় হোক সবাই আম খেতে পছন্দ করে ।আম কাঁচা ও পাকা দুই অবস্থাতেই খাওয়া যায় এবং সবাই তা পছন্দ করে। কাঁচা আম খেতে একটু টক লাগে কিন্তু মিষ্টি লাগে। আরো অনেক ধরনের আম আছে ।যেগুলো কাঁচা অবস্থায় টক লাগে সেই আম যখন পাকা হয়ে যায় তখন সেগুলো খেতে খুব মিষ্টি লাগে।
আর আম এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি আছে ।আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ।আর এই আম খাওয়ার ফলে আমাদের শরীর অনেক সুস্থ থাকে ।তার সাথে সাথে আমাদের চেহারাও অনেক সুন্দরতা বৃদ্ধি করে। স্বাস্থ্য অনেক সুন্দর থাকে। কলো জেন প্রোটিন আমাদের ত্বকের বলি রেখা ও ব্রণের সমস্যা দূর করে ।তাছাড়া আম চুলের সমস্যাও দূর করে।
আম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা
আম খাওয়ার ১০ টি উপকারিতা রয়েছে তা আমাদের জানা প্রয়োজন আর এই প্রশ্নগুলো আমাদের মাথায় আসা স্বাভাবিক বিষয় কারণ হলো আমরা একটি জিনিস খাবো সেই জিনিস খাবার ফলে আমাদের শরীরে কি কি ইফেক্ট করব করতে পারে সেগুলো জানা অতি জরুরী যে কোন খাবার ভালো দিক আর খারাপ দিক থাকে।
কারণ আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ,ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ ,ভিটামিন সি থায়ামিন ,খনিজ লবণ , শ্বেতসার ও ভিটামিন বি -১ ও বি -২ । যা শরীরে বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় ।আম খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- পাকা আম খেলে টক মসৃ ণ ও সুন্দর করে এটি আমাদের ত্বকের ভেতর ও বাহিরে থেকে উজ্জ্বল করে আম ত্বকের লোমের গুড়া পরিষ্কার করে ও ব্রণের সমস্যার সমাধান করে যা আমাদের অতি প্রয়োজনীয় সমাধান।
- আম লোমের গোড়া পরিষ্কার করার ফলে মুখের ও নাকের ব্ল্যাকহেড দূর করে। ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।এছাড়াও প্রতিদিন ১০০ গ্রাম পাকা আম খেলে মুখের দাগ কালো কালো ছোপ দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
- গাছ পাকা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে খনিজ লবণ থাকে, যা থেকে আমাদের শরীরের দাঁত, চুল, নখ মজবুত করতে সহায়তা করে।
- আম হলো মূলত দুই ধরনের -গাছ পাকা আম আর এক হল ফরমালিন দিয়ে আম পাকিয়ে সেটা বিক্রি করা হয়। আমাদের এসব বিষয় দেখে শুনে আমি কিনতে হবে ।আর এই গাছ পাকা আম এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজ। গাছ পাকা আম খাওয়ার ফলে আমাদের চুল ও দাঁত অনেক মজবুত হয়।
- আমি থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের শরীরের স্নায়ু কোষের অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে যার ফলে আমাদের রাত্রে দ্রুত ঘুম আসে এবং খুব সুন্দর একটি শান্তির ঘুম হয়। আর একটি সুস্থ মানুষের ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে অনেক মানুষেরই ঘুম হয় না যাদের ঘুম হয় না তারা বেশি করে আম খেতে পারেন ।এটি একটি প্রতিশোধকীয় ওষুধ।
- আমে প্রায় ২৫ প্রকার ক্যারাটিনোইটস এছাড়াও উপকারী ব্যাকটেরিয়া রয়েছে ।যা একটি মানব শরীরে সুস্থ রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে।
- আমে রয়েছে ভিটামিন এ ,আর এটি হল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভিটামিন এর ফলে চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ে ।যে ব্যক্তির চোখে দৃষ্টি শক্তি কম রয়েছে। তাদের জন্য আম একটি বিশেষ উপকারী ওষুধ। ভিটামিন এ শরীরে গেলে রাতকানা রোগ থেকে সে মুক্তি পাবে।
- কাঁচা আমে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। তাছাড়া কাঁচা আমের থাকা লুটেইন এবং অ্যান্টি-অক্সাইড চোখের রেটিনা স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকারী ফল এই কাঁচা আম।
- আমে রয়েছে অনেক রকমের অ্যাসিড ।মানুষের যেমন এসিরিটি করে।এই সব সমস্যা লেগেই থাকে ।এই এসিড যদি হয় তাহলে আপনি কাঁচা আম খাবেন ।ফলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
- পাকা আমের থাকা টারটারিক অ্যাসিড, ম্যালিক এসিড, সাইট্রিক এসিড রয়েছে ।এগুলো মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। যা একটি পাকা আমে রয়েছে, আর আপনি যদি পাকা আম খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে এইগুলো উপাদান যাবে ,ফলে আপনার শরীরের রক্ত পরিষ্কার হয়ে যাবে।
- আর কাঁচা আমে রয়েছি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ফলে মুখের নানা রকম সমস্যা থেকে রূপ প্রতিরোধ করে এবং মাড়ি থেকে রক্ত ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। প্রকৃতপক্ষে মানব দেহে যতগুলো রোগ ব্যাধি আছে তার মধ্যে ৫০% প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আর এই উপরের দশটি প্রকারের নাম বলা হয়েছে মূলত আম খাওয়ার উপকারিতা। আপনারা যারা আম খেতে ভালোবাসেন। তারা এইসব উপকারিতা পেয়ে থাকবেন আপনাদের শরীরে ।যার ফলে সব ভিটামিন মানব শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। আর আম খেতে পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
পাকা আমের মতো কাঁচা আম খাওয়ারও কিছু উপকারিতা রয়েছে। যা আমাদের অতি প্রয়োজনীয়। কাঁচা আম দিয়ে আচার বানানো হয় ।আচার সবার কাছে লোভনীয় একটি জিনিস ।অনেকে আবার কাঁচা আমের শরবত খেতে পছন্দ করেন ।কাঁচা আমের চাটনি বা কাঁচা আম মাখা খেতেও বেশ মজাদার ।কাঁচা আম শুধু স্বাদ না গুনেও অনন্য। কাঁচা আমের কিছু উপকারিতা নিচে আলোচনা করা হলো-
- পেটের সমস্যা যেমন- অ্যাসিডিটি ,কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদহজমের মতো সমস্যা কমাতে কাঁচা আম বেশ উপকারী।
- মানুষের দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে। গরম থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে কাঁচা আম এছাড়াও স্টোকের ঝুঁকি কমায় কাঁচা আম। অতিরিক্ত রোদের তাপ থেকে দেহকে রক্ষা করে ।এই কাঁচা আম জ্বর হলেও রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে।
- কাঁচা আমের প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় মুখের নানা রকমের ক্ষত শুকাতে মুখের নানা রকম সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ।এছাড়াও কাঁচা আমে মাড়ি থেকে রক্তপাত কমাতে সাহায্য করে।
- কাঁচা আমের থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। তাছাড়া কাঁচা আমের থাকা লুটেইন ওথিন একটি অক্সিডেন্ট চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য খুবই উপকারি।
আমের অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
আম খাওয়ার যেমন উপকারিতা আছে তেমনিও ভাবে অপকারিতা আছে ।আমের কিছু নীরব পাশ্ব প্রতিক্রিয়া আছে যা আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। আমের অপকারিতা জেনে আম খাওয়া অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সবাই আম খাওয়াকে গুরুত্ব নয় ,উপকারিতা ও অপকারিতা কে গুরুত্ব দিয়ে খাওয়া উচিৎ। নিচে আম এর অপকারিতা দেওয়া হল-অনেকের শরীরে হরেক রকমের এলার্জি সমস্যা আছে। তাদের জন্য আম ক্ষতিকর কারণ হতে পারে ।কারণ আমে প্রোটিন লেটেক্স এর মত উপাদান আছে যা এলার্জির সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- আমে উচ্চ মাত্রায় প্রাকৃতিক চিনি থাকার কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের অতি দ্রুত চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই আম খাওয়ার সময় আমের পরিমাণ এর ওপর অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের আমে কমবেশি খাওয়ার ফলে আম সহজে হজমে ব্যাঘাত ঘটে।
- একই সাথে অনেকগুলো আম খেলে শরীরের ওজন বাড়ে ।কারণ আমে ফাইবার কম ও প্রাকৃতিক শকরা ক্যালরির পরিমাণ বেশি থাকায় তার ওজন দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে ।তাই শরীরের ওজন কমাতে হলে আম খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
- আমি কার্বোহাইড্রেট রয়েছে যা সিনড্রোম বাড়াতে পারে এবং পেটের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কাঁচা আম ও পাকা আম খাওয়ার নিয়ম
কাঁচা ও পাকা আম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আমাদের আম খেতে হবে। কারণ এইগুলো আমরা যদি না জেনে খাই ।তাহলে আমাদের অনেক বড় সমস্যা হতে পারে শরীরে ।আর আমাদের সব নিয়ম মেনে খাওয়াই উচিত। কথায় আছে স্বাস্থ্যই সকল সম্পদের মূল। স্বাস্থ্য ঠিক সব ঠিক। তাই স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের খেয়াল রাখা অতি জরুরী।
কাঁচা আম ও পাকা আম খাওয়ার কি কি নিয়ম রয়েছে সেগুলো আমরা জেনে নিই। আম হলো দুই ধরনের কাঁচা ও পাকা আম ।সর্বপ্রথম আমরা জেনে নিই কাঁচা আম খাওয়ার নিয়ম ।সর্বপ্রথম আমাদের কাঁচা আম ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।তারপর সেই আমগুলো কুচি কুচি করে কাটতে হবে ।সুস্বাদু করে লবণ ও ঝাল দিয়ে বানিয়ে নিয়ে খেতে হবে। তাহলে খেতে অনেক মজা লাগবে।
আর এই কাঁচা আম খাবার ফলে আমাদের শরীরে অনেক উপকার হয়। অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।আবার অপকারিতা রয়েছে ।এবার চলুন তাহলে আমরা পাকা আম খাওয়ার নিয়মটা জেনে নিই।পাকা আম সর্বপ্রথম ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।তারপর সেগুলো চাকু দিয়ে কেটে খেতে হবে ।আর পাকা আম অনেক পরিমান মিষ্টি। আর এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।
যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে ,তারা এই পাকা আম খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন। কারণ আমে রয়েছে প্রাকৃতিক সুগার ।আর যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের সুগার আরো বেড়ে যাবে ।তাই আপনারা পাকা আম খাবেন না। পাকা আম অনেক মিষ্টি হয় ।তাছাড়া আপনি আরেকভবে পাকা আম খেতে পারেন ।আপনি আমগুলো কেটে আপনার জুস মেকারে দিয়ে আমের জুস করে খেতে পারেন ।মূলত এগুলো হলো আম খাওয়ার নিয়ম।
আমের বিভিন্ন জাত ও তার নাম
আমের হরেক রকমের জাত আছে এবং তাদের বিভিন্ন ধরনের নামও রয়েছে ।যেসব আম বিভিন্ন ধরনের জাত আছে অনেকেই সেটা জানে না ।আম কত ধরনের ও কি কি ধরনের হয় ।আমের অনেকগুলো নাম আছে। অনেক জাতের আম রয়েছে ।এগুলো আমাদের জানতে হবে। যেমন- ফজলি আম ,এ আমটা কাঁচা খেতে অনেক সুন্দর লাগে ।আর এই আম এক একটা ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজির মত ওজন হয়ে থাকে।
আবার ও এর থেকে বেশিও হয় ।তারপরে হলো গোপাল ভোগ আম। এই আমে কোন আঁশ নেই ,আর এই আম যখন পাকে তখন এই আম খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে । আরো অনেক আম এর নাম হচ্ছে- হিমসাগর, ন্যাংড়া ,ফজলি ,আল ফাংশ এবং কেসার।
হিমসাগর খুবই মিষ্টি এবং রসালো। ন্যাংড়া সবুজ রঙের ও মিষ্টি। ফজলি বড় আকারে ও মিষ্টি আলফানস মহারাষ্ট্রের উৎপন্ন এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত । কেশার গুজরাতে উৎপন্ন ও সুগন্ধি। প্রতিটি প্রকারের আমে তাদের নিজস্ব পুষ্টিগুণ ও লোভনীয় স্বাদ দিয়ে ভোক্তাদের আকৃষ্ট করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমের উপকারিতা
আমে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে ,যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করে। এছাড়াও এতে থাকা অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ শরীরে ফিরি রেডিকেলস কমাতে সাহায্য করে। আমের মধ্যে ভিটামিন এ থাকায় শরীরের ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে সহায়তা করে।আম ত্বকের দাগ কমাতে এবং ত্বকের বার্ধক্য রোধ করতে সহায়তা করে।
আমি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকায় চোখে দৃষ্টি শক্তি উন্নত করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে এছাড়াও এটি ম্যাকুলার ডিজেনারেশান থেকে চোখে রক্ষা করে। এটি হজমেও সহায়ক যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে ।পেটের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।
আমে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে ।বিশেষ করে পলিফেন্লস কোলনও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর। আম খাওয়ার খুব উপকারিতা হচ্ছে ,শরীরের সমস্ত রক্তকে শুদ্ধ করতে সাহায্য করে এবং ত্বক উজ্জ্বলতা বাড়ায়। এটি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে। শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়।
আমি ভিটামিন বি৬ থাকে যা মানুষের চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে আম খাওয়ার ফলে প্রচন্ড ঘুম হয়। ঘুমের জন্য স্বাস্থ্য ও মেজাজ উন্নত হয় ।শরীরের অতিরিক্ত প্রদাহ কমাতে এবং ব্যথা-প্রশোমনে সহায়ক হতে এটি আর্থাইটিস ও অন্যান্য প্রদাহ জনিত রোগের উপশমের কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
শেষ কথা আম খাওয়ার উপকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
আম প্রকৃতির একটি অমূল্য দান। যা আমাদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী ও অপকারীয়। তবে সঠিক পরিমাণে খাওয়া সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অতিরিক্ত আম খাওয়া যেমন- ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ শকরা গ্রহণ ও হজমের সমস্যার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তেমনি এলার্জি এবং ত্বকের সমস্যা হতে পারে ।তাই মধ্যম অবস্থায় থেকে আম উপভোগ করা উচিত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url