চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার

 আপনি কি অতিরিক্ত চুল পড়া নিয়ে ভাবছেন ,এইজন্য আমার পোষ্টের মাধ্যমে চুল না পড়া এবং চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার ,কালোকেশী গাছের উপকারিতা এবং ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে জানতে পারবেন। চুল পড়া রোধ করার পাশাপাশি নতুন চুল গজানোর জন্য এবং লম্বা করতে বিভিন্ন উপায় জানতে পারবেন ।এখানে কালোকেশী হতে পারে একটি জনপ্রিয় ভেষজ উপাদান যা অতীতকাল থেকেই চুলের বিভিন্ন যত্নে ব্যবহার হয়ে আসছে তা আমরা অনেকেই জানিনা।

আপনি যদি চুলের যত্নে কালো কৃষি ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন তাহলে খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যে আপনিও পেতে পারেন এক ঢাল লম্বা চুল এর সাথে চলুন কালো বেশি তেল তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই। উদ্ভিদ দ্বারা চুলের যত্নে এত সুন্দর উপাদান রয়েছে আমরা তা এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করব।

পোস্ট সূচিপত্রঃচুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহার ও এই পোস্টের  সূচিপত্র নিম্নে দেওয়া হল।

  •  কালোকেশী গাছ চিহ্নিত করার উপায় 
  • কালো কেশী গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা 
  •  চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহারের উপকারিতা 
  • টাক মাথায় চুল গজানো 
  •  চুল ঝরে পড়ার কারণ সমূহ  
  • চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার পদ্ধতি ও নিয়ম
  • চুলের খুশকি দূর করতে কালো কেশি পাতার কার্যকারিতা 
  •  কালকেশী কি ,এর উপাদান সমূহ 
  • কালকেশী তেল তৈরি করার নিয়ম
  •  
  • মতআমত, চুলের যত্নের কালেকেশী ব্যবহার সম্পর্কে 

 

কালকেশী গাছ চিহ্নিত করার উপায়

কালোকেশী গাছ এক ধরনের বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ ।এর শাখা লতানো, এর শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার। শাখা-প্রশাখায় এতটাই ভারী যে নিজের ভার নিজেই রাখতে পারে না। কালো কিসের পাতা খুবই ছোট হয় এবং গারো সবুজের রঙের হয় তিন থেকে চার ফিট সেন্টিমিটার চিকন হয়। 

কালোকেশী গাছ অত্যন্ত উপকারী একটি ঔষধি গাছ। এই গাছ থেকে কালো এক ধরনের রস বের করা হয় ,যা চুলকে আরো কালো করতে সাহায্য করে ।এছাড়া এই গাছের রস থেকে চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে ।এই গাছকে আমরা অনেক আগে থেকেই দেখেছি। কিন্তু জানিনা যে এই গাছের এত গুনাগুন ।এই গাছের আবার কেশতি বা কেশরাজ প্রভৃতি নামে পরিচিত ।আমাদের দেশে অনেকেই আছেন যারা কালোকেশী উদ্ভিদটিকে চিনেন না। জংলা উদ্ভিদ বলে জেনে থাকে।

অনেকেই আবার কালোকেশী কে ভৃঙ্গরাজের সাথে গুলিয়ে ফেলেন। ভৃঙ্গ রাজ এক ধরনের ফুলের রং। কিন্তু কালো কেশী গাছটি হয় সাদা অথবা গাছটি তিতুকুতি ও হালকা কস সাদ যুক্ত ।একটি ফুল নীল এবং একটি সাদা অন্যটির ডাটা। একটু লালচে সাড়ে ৩.৪সেন্টিমিটার থেকে ৯.৫০সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। বর্ষাকালে হলুদ রঙের ফুল বেশি হয় এবং শরৎকালে ফল হয়। এজাতীয় ডাটার প্রতি গিরায় গিরায় থাকে দুটি করে বিপরীতমুখী পাতা। পাতার কিনারা হালকা খাজকাটার মত হয়। পাতার আকৃতি লম্বাটে বর্ষাকৃতি অমসৃণ ও খসখসে। এবং বনো জঙ্গলে বেশি পাওয়া যায় ।

 কালোকেশী গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা 

উপকারিতাঃ

কালোকেশী গাছের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি যে এর গুনাগুন ও ওষুধের গাছ একটা। এই গাছটি সচরাচর বন জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। কালোকে সে গাছের অনেক না নাম রয়েছে তার মধ্যে কেশরাজ কেশুতি কেউটি কালো, চিরিয়া কাল সাঁতার গাছ নামে পরিচিত এছাড়া এই গাছের রস চুল পড়া বন্ধ করে চলুন তাহলে জেনে নিন কালো কেশি গাছের উপকারিতা সম্পর্কে 

আরো পড়ুন 

১,কালোকেশি গাছ শরীরের বিভিন্ন জায়গা কেটে গেলে সেখানে যদি এই পাতাটা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগানো হয় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে ।আস্তে আস্তে আক্রান্ত স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যাবে।

২, লতা দিয়ে পাতা ফুল ও ফলসহ একসাথে বেটে রস তৈরি করে নিয়মিত মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয় ও চুল পড়া বন্ধ হয়। চুল লম্বা ও কালো হয়।

৩. এই কালোকেশী লতাকে জাল দিয়ে নির্যাস তৈরি করে ডিপ্রেশন ও হাইপোটেনসিপ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমির উপদ্রব কমে যায় ।এতে স্বাস্থ্যর উপকারী এবং ত্বকের জন্যেও উপকারী।

৪. কেশোরাজ চুলে দিলে কি হয়? কেশোরাজের পাতা ফুল ও ফল সহ বেটে রস তৈরি করে মাথায় দিলে মাথা ঠান্ডা হয় ।এছাড়া ২৫০ গ্রাম নারকেল তেলের সাথে এক কাপ কালোকেশির কাচা রস, তার সাথে আমলকি একটি, জবা ফুল একটি, কারি পাতা ৪ থেকে৫টি, এক চা চামচ মেথি দানা ,একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিলে পাতা ঠান্ডা করে, পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ছেকে কাঁচের বোতলে সংগ্রহ করে রাখলে বছর ধরে ব্যবহার করা যায়। তৈরি করা এই মিশ্রণটি মাথায় মালিশ করলে মাথার ঠান্ডা হবে। চুল পড়া বন্ধ হবে, চুল লম্বা ও কালো হবে।

৫. আবার এই পাতা নিয়মিত দুই চামচ পরিমাণ কালো কেসের রস যদি সেবন করা হয় ।তাহলে ডাইবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ।কালোকেশের রস ব্লাড সুগার লেভেল ও গ্লাইকোসাইটএর পরিমাণ কমায়। গ্লুকোজ ফসফেট এর কার্যকারিতা কমায় যা লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়।

৬. এটা প্রচন্ড মাথাব্যথায় কালোকেসের রস দুই ফোঁটা নাকের ভিতরেও কপালে মালিশ করলে সেই ব্যথাটা দূর হয়। প্রতিদিন যদি নিয়মিত সেবন করা হয় ।তাহলে অতিরিক্ত রক্ত স্রোত যাদের, তাদের শরীর থেকে ক্ষতিকারক উপাদান বের করে দিয়ে শরীরকে সতেজ করে তোলে।

কালোকেশী পাতার অপকারিতা

  • কালোকেশী পাতার যেমন উপকারিতা আছে তেমনি অপকারিতা আছে ।এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে তা না হলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। নিচে আমরা তা জানবো-
  • কালোকেশী পাতার রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কিন্তু অতিরিক্ত গ্রহণ করার ফলে হাইপনটেনশন অতিরিক্ত রক্তচাপ কমে যায় সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে তাই যারা রক্তচাপ কম হওয়ার সমস্যা ভুগেন তারা অবশ্যই বিপদে পড়তে পারেন।
  • যারা গর্ভবতী তাদের বেশি ঝুঁকি রয়েছে। এখানে গর্ভপাত বা অন্যান্য সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই এটি কোন ভাবেই খাবেন না।

পরামর্শ ও সতর্কতাঃ

  • যেকোনো জিনিসের নিয়ম মেনে চলা 
  • প্রথমবার ব্যবহার করে সামান্য পরিমাণ শরীরে লাগিয়ে বা পর্যবেক্ষণ করে নেওয়া উচিত 
  • যদি কোন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাহলে ব্যবহার বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া অতি জরুরী।

চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহারের উপকারিতা

 চুলের যত্নে কালকেশী ব্যবহারের উপকারিতা চুল পড়া বন্ধ করতে এই কালোকেশী অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে ।এতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট এর উপাদানে চুলের ফলিক গুলোকে পূণ্য জীবিত করে ।ফলে চুল পড়া কমে যায় ।চুলের বৃদ্ধি ত্বরানিত করে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল বৃদ্ধি করে আরো লম্বা ও ঘন কালো করতে সাহায্য করে।

কালোকেশী ব্যবহার করার ফলে পাকা চুলপাকতে প্রতিরোধ এবং চুলের প্রাকৃতিক কালো রং আনতে সাহায্য করে ।চুলের শুষ্কতা দূর করে কালো কেসে চুলের প্রাকৃতিক ময়েশ্চার যোগায় ।যা চুলকে নরম এবং মসৃণ করে তুলতে সহযোগিতা করে।

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপাদান। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার যদি সঠিক নিয়মিত ভাবে ব্যবহার করা হয় ।তাহলে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব। এটি চুলকে বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না বরং ভেতরের শান্তি ও নিশ্চিত করে ।আপনার চুল পড়া পাকা চুল বা রুক্ষতার সমস্যা থেকে কালো কেশী হতে পারে আপনার সমস্যার সমাধানের ও কার্যকরের একমাত্র সমাধান।

 টাক মাথায় চুল গজানো 

চুলের যত্নে কালো কেশী টাক মাথায় চুল গজাতে সাহায্য করে। মানুষের মধ্যে কৌতূহল এবং আগ্রহ থাকে চিরকালীন ।এই আগ্রহের বলে একটি সাধারন সমস্যার বা বেশিরভাগ পুরুষ এবং কিছু ক্ষেত্রে নারীরাও ভোগেন। টাক হওয়ার প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে বংশগত প্রভাব, হরমোন জনিত পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এবং মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্য ।এই প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে বর্তমানে টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য বিভিন্ন কার্যকর পদ্ধতি বের হয়েছে। 

টাক হওয়ার কারণ ইন্দ্রজিনিটিক এলোপেসিয়া সাধারণত বংশগত ।এছাড়াও হরমোনের তারতম পুষ্টির অভাব। ধূমপান অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে টাক হওয়া জন্য দায়ী ।মাথায় ত্বকের সঠিক যত্নের অভাব বা বিভিন্ন রাসায়নিক পণ্যের অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল ঝরে পড়ার জন্য বিশেষ ভাবে দায়ী । নিম্নে টাক মাথায় চুল কিভাবে গজানো যায় সে ব্যাপারে আলোচনা করব। 

  • কালোকেশী পাতার রস বেটে মাথায় মালিশ করলে চুল গোজাতে সহযোগিতা করে ।তাছাড়া। পেঁয়াজের রসে সালফার থাকে যা চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে ।
  • নারকেল তেল ও মধু মিশ্রন করে চুলের গোড়ায় লাগালে পুষ্টি যোগায় এবং চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। এলোভেরা চুলের ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে এবং চুল বৃদ্ধি দ্রুত করতে অ্যালোভেরা খুব কার্যকর।
  • কালোকেশী পাতার রস বেটে জ্বাল করে নিয়ে তেল বানিয়ে মাথায় দিলেও দ্রুত চুল গজাতে সাহায্য করে।

সতর্কতাঃ 

  • পুষ্টিকর খাবার যেমন প্রোটিন ভিটামিন ও সি ই এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে 
  • ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন 
  • মানসিক চাপ কমানোর জন্য নিয়মিত যোগ ব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন
  • চুলের যত্নে ক্ষতিকর রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন 
  • টাক মাথায় চুল গজানোর পদ্ধতি ব্যক্তিভেদে আলাদা হতে পারে। তাই এই সমস্যার গভীরতা বুঝে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা বেছে নেওয়া উচিত ।জীবন যাপনের সামান্য পরিবর্তন এনে এবং নিয়মিত যত্ন নিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।

 চুল ঝরে পড়ার কারণ সমূহ 

চুল ঝরে পড়া একটি সাধারণ কোন সমস্যা নয় ।কারণ এটি সব সময় সবার ক্ষেত্রেই হয় ।যেমন শারীরিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেও এই লক্ষণটা হতে পারে। তেমনি জীবনযাত্রার ভুল পদ্ধতি কারণেও হতে পারে নিচে চুল ঝরে পড়ার প্রধান কারণ গুলো আলোচনা করা হলো 

  • পুষ্টির অভাবে চুল সঠিকভাবে বৃদ্ধি হতে পারে না ।ফলে চুল ঝরে পড়ে ।যেমন প্রোটিন ভিটামিন বিডি এবং ই আয়রন যুক্ত বায়োটিনের পদ্ধতি বা ঘাটতি হলে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং দ্রুত ঝরে পড়ে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস কিংবা ডায়েট করার ফলে এই পোস্টের অভাব বেশি দেখা দিতে পারে।
  • মাথায় অতিরিক্ত খুশকি এবং ছত্রাক সংক্রমনের কারণে ক্যাল্পের ত্বক দুর্বল হয়ে যায়।এর ফলে চুলের ফলিকল গুলো ঠিকমতো পুষ্টি পায় না এবং চুল ঝরে পড়ে।
  • বংশগত কারণ ও চুল পড়তে পারে এটি পুরুষ এবং নারী উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য পুরুষদের ক্ষেত্রে এটি মেল প্যাটার্ন ব্যাট নাইস নামে পরিচিত তারপর নারীদের ক্ষেত্রে ফিমেল পাঠান হেয়ার লস নামে পরিচিত। পরিবেশগত ভাবে পরিবেশ এবং সূর্যের অতিবেগুনি রোশনি চুলের প্রাকৃতিক গঠন নষ্ট করে ।দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ঝরে যায়।

চুলের যত্নে কাল কে সে ব্যবহার পদ্ধতি ও নিয়ম

চুলের যত্নে কালো কেশী ব্যবহারের পদ্ধতি ও নিয়ম হলো একটি প্রাকৃতিক উপায় বা ব্যবহারের ফলে চুলকে ঝলমলে সুন্দর মজবুত এবং শক্তিশালী করতে পারবেন। চুলের যত্ন নেয় কালোকেশী সেই গুন সম্পূর্ণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা বিভিন্ন সমস্যার জন্য উপকারী এবং চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহারের কয়েকটি পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হলো

চুলের যত্নে কালো কেশী তেল ব্যবহার 

  • কালোকেশী তেল আমাদের চুলের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কালো কেশীর তেল ব্যবহার করলে আমাদের চুলের গোড়া শক্ত এবং বৃদ্ধি পেতে শক্তিশালী হয় ।কালকেশী তেল সহজে তৈরি করতে পারবেন ।প্রথমে কালো কেশীর পাতা শুকিয়ে সুন্দরভাবে গুড়া করে নিন ।এরপর কালো কেশীর গুঁড়া নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে নিন ।এরপর এক ঘন্টা এভাবেই রেখে দিন কালো কেশীর তেল তৈরি হলে চুলের শিকড়ে মালিশ করুন।
  • চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে কালো কিসের গুড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এটি চুলের গুড়া মজবুত ও শক্তিশালী করতে সহায়তা করে ।কালো কিসের গুড়া এক চামচ মধুর সাথে মিক্স করে নিন এবং একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেসটটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন ।৩০ মিনিট হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। চুলের যত্নে কালকেশী সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করুন ।এর ফলে আপনার চুল কালো হবে এবং চুলের সুস্থতা বজায় থাকবে।
  • চুলের যত্নে কালো কিসের সুপ তৈরি একটি আধুনিক পদ্ধতি ।যেমন- কালো কেসের পাতা সিদ্ধ করে তাতে একটু লবণ এবং মিষ্টি যোগ করে খেতে পারেন অথবা সুপের সাথে কালো কেসের গুড়া মিক্স করে খেতে পারেন ।এর ফলে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত হবে।

চুলের খুশকি দূর করতে কালো কেশী পাতার কার্যকারিতা

চুলের খুশকি একটি সাধারণত অনেকেরই সমস্যা প্রায় ই চুলে দেখা যায়। খুশকির কারণে মাথার জ্বালা এবং গন্ধ সৃষ্টি হয় ।বর্তমান সমাজে খুশকি দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা শ্যাম্পু পাওয়া যায় ।তবে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যের খুশকি দূর করা খুবই ভালো। চুলের যত্নে যখন কালোকেশী ব্যবহারের পদ্ধতি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করছে ।

আরো পড়ুন

তাহলে চুলের খুশকি ও দূর করতে সহায়ক হবে ।আমাদের সকলেরই পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ বা উপাদান। এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি বিভিন্ন বিলেপাথারে অথবা বনে জঙ্গলে পাওয়া যায় ।এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

কালোকেশী কি এর উপাদান সমূহ 

চুলের যত্নে কালো কেশীর ব্যবহার এর প্রাচীন নিয়ম এবং গুনাগুন আমরা দেখে আসছি। কিন্তু এই কালো কে শী আসলে কি এবং এর উপাদান সমূহ কি কি এটা আমাদের অনেকেরই অজানা তাহলে চলুন খুব সহজভাবে জেনে নেই কালো কেশী কি এবং এর উপাদান সমূহ কি কি।

কালোকেশী কি?

কালোকেশী হল এমন ধরনের প্রাচীন প্রাকৃতিক উদ্ভিদ। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ।এছাড়াও এর একটি গুণ হলো আমাদের চুলের রং ধরে রাখতে চুল পড়া রোধে সহায়তা করে এবং সাথে চুলের ক্ষয়ক্ষতি হতে প্রতিরোধ করে ।আরেকটি গুণ হলো চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করা এবং চুলের সৌন্দর্য ধরে রাখতে সাহায্য করা। বিশেষ করে কালো বেশি পাতা ফুল রস সবকিছুই আমাদের চুলের জন্য অধিক কার্যকরী ।প্রাকৃতিকভাব এটি আমাদের চুলের রঙ ধরে রাখতে চুল পড়া রোধে এবং চুলের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাহলে চলুন এবার জেনে নিই এই কালোকেশী পাতার উপকারী এবং কালো কেশীর উপাদান সমূহ গুলো কি কি।

আইরন এবং ক্যালসিয়ামঃকালো কিসের উপাদানের মধ্যে বিশেষ করে ক্যালসিয়াম ও আয়রন। এই দুটি খনিজ পদার্থ রয়েছে যেগুলো আমাদের চুলের শিকড় মজবুত করতে এবং চুল ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রোধ করে।

ভিটামিন সিঃকালোকেশী ব্যবহারে এতে বিদ্যমান ভিটামিন সি আমাদের মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। শুধু তাই না ভিটামিন সি আমাদের মাথার খুশকি প্রতিরোধ করে থাকে ।এতে মাথার স্কার্ফ ভালো থাকে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃকাল কিশির পাতা এবং ফুলে বিভিন্ন রকমের আয়রন ভিটামিন এবং পাশাপাশি অধিক পরিমাণ এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা চুলের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে এবং এন্টি অক্সিডেন্ট আমাদের চুলের কোষ পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করা।

আমিনো এসিডঃকালোকেশীতে বিদ্যমান এমিনো এসিড আমাদের চুলের পুষ্টির উপাদান সরবরাহ করে থাকে। আমাদের চুলকে পুণ্য গঠনে সাহায্য করে ।তাই আমাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কালোকেশীর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

অ্যান্টিসেপটিকগুনঃঅ্যালোকেশীতে এক ধরনের অ্যান্টিসেপটিক গুন রয়েছে। আমাদের মাথার ইনফেকশন দূর করে দেয়। সাথে এটা আমাদের মাথার চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ।আপনি যদি নিয়মিত কালকেশীই ব্যবহার করে থাকেন ।তবে আপনি মাথার যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে ।চুলের স্বাস্থ্য অনেক বেশি উন্নত হবে।

কালোকেশী তেল তৈরি করার নিয়ম 

কালোকেশী তেল তৈরি করার সঠিক নিয়ম জানা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের শরীরের অন্যতম সৌন্দর্যের অংশ হলে চুল ।আর এই চুল পড়ার সমস্যা ভোগেন না এমন কোন মানুষ পাওয়া দুষ্কর ।তাই আমাদের আজকে এই যাদুকরি তেলের রেসিপি শেয়ার করব ।যা চুল পড়া কমাতে এবং চুল কালো করতে ম্যাজিক এর মত কাজ করবে। নিম্নে ঘরোয়া পদ্ধতি ভাবে কালো কেশে তেল তৈরির নিয়ম আলোচনা করা হলো। 

  • কালোকেশী পাতা পরিষ্কারভাবে ধুয়ে ছায়ায় কিছুক্ষণ শুকিয়ে নিতে হবে যেন পাতায় পানি না থাকে। 
  • পাতায় একটু পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটু ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
  • তারপর একটি গরম করার জন্য পরিষ্কার পাত্রে এক কাপ পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে হালকা আছে গরম করতে হবে এরপর পেস্ট গুলো যোগ করতে হবে। 
  • তারপর ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন হালকা আঁচে ।নাড়তে হবে যেন পেস্টগুলো পুড়ে না যায়। এটা ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে জাল করতে হবে হালকা আঁচে ।
  • গন্ধ ও রঙ্গের পরিবর্তন যখনই হবে দেখবেন তেলের রং কালচে সবুজ হয়ে গেছে এবং পাতাগুলো শক্ত হয়ে গেছে ।এটাই ইঙ্গিত দেয় যে তেল প্রস্তুত হয়ে গেছে।
  • এরপর তেল ঠান্ডা করে একটি পাতলা কাপড় দিয়ে সেকে নিয়ে পরিষ্কার বোতলে ভরে রাখুন।

সংরক্ষণঃ এই তেল এক মাস থেকে দুই মাস পর্যন্ত রাখা যাবে ।যদি শুকনা ও ঠান্ডা জায়গায় রাখা হয় ।ফ্রিজে রাখলে বেশিদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে।

বোনাস টিপসঃ 

চুল পড়া ও পাকা চুলের সমস্যায় ভুগলে কালো কেশে তেলের সাথে কিছু উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: 

  • আমলকি তেল 
  • ব্রামে তেল 
  • মেথি গুড়া 

এই উপাদানগুলো তেলের সাথে মিশিয়ে হেয়ার গ্রোথ তেল মিক্স তৈরি করা যায় ।যা চুল পড়া কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী এবং পাকা চুলে সমস্যা দ্রুত দূর করে। 

মতামতঃ চুলের যত্নে কালো পেশী ব্যবহার সম্পর্কে 

চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার থেকে শুরু করে কেশরাজ/ কেশরাজ কালো কেশী পাতার গুনাগুন ,চুলের যত্নে কালো কেশে তেলের উপকারিতা ,কালকেশে তেল তৈরি করার নিয়ম ,কালো কেসি গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা ,পাতার অপকারিতা ও গাছ চেনার উপায় সম্পর্কে কিছু প্রশ্নের উত্তর নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা আমাদের সবসময় ভরসার জায়গা ।আমি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি ,স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল পেতে কালোকেশী ব্যবহার করা সত্যিই অসাধারণ ।চুলের যত্নে নিয়মিত সঠিক উপায়ে কালকেশী ব্যবহার করার মাধ্যমে চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করা সম্ভব ।এটি চুলের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে না বরং ভেতরে শান্তি নিশ্চিত করবে। চুলের সঠিক যত্নে প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপায় গুলোর মধ্যে নিয়মিত যত্ন এবং সঠিক খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।চুলের যত্নে কালকেশে ব্যবহারের এই নিয়মগলো মেনে চলুন এবং চুলকে স্বাস্থ্য জল ঝলমলে ঘন কালো এবং লম্বা করুন। আর একটা কথা না বললেই নয় ,চুলের যত্নে এবং কালোকেশী তেলের ব্যবহার করে নিজেকে কেশবতী কন্যা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটান ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url